জগন্নাথপুর এর বালিকান্দী সূর্যমুখী ফুল বাগানে দর্শনার্থীদের ভীর

জগন্নাথপুর এর বালিকান্দী সূর্যমুখী ফুল বাগানে দর্শনার্থীদের ভীর

মোঃ হুমায়ুন কবীর ফরীদি,  জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) স্টাফ রিপোর্টারঃ

জগন্নাথপুরে সবুজের সমারোহে হলুদের সংমিশ্রণ। সূর্যমূখী ফুলের প্রদর্শনী। ফলেছে বাম্পার ফলন কৃষকের মূখে হাসি। সোনালী সকাল আর গোধূলি বেলায় জমে দর্শনার্থীদের ভীর। এই প্রদর্শনীতে এলে যে কারো মন আনন্দে উল্লসিত হয়ে উঠবেই।
 ১২ ই মার্চ  সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়,  সবুজ শ্যামলের ছায়া ঘেরা সোনার বাংলার প্রত্যন্ত ভাটি বাংলা  অলি- আউলিয়া আর ঞ্জানী-গুনীর বিচরণভূমি হাওর কন্যা খ্যাত সুনামগঞ্জ জেলার প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলার রানীনগর,শ্রীরামসি, নাদামপুর, বালিকান্দী ও হামিদপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর সার্বিক সহযোগিতায় সরকারি রাজস্ব খাতের অর্থায়নের প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে ৫৫ জন কৃষক  সূর্যমুখী ফুলের বাগান অর্থাৎ প্রদর্শনী করেছেন।গুড়গুড়ি ব্লকে প্রাকৃতিক স্বর্গ সৃষ্টি করে সবুজ গাছের ডগায় হলুদের সংমিশ্রণে পাপড়ি মেলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সূর্যমূখী ফুল। মনমাতানো সূর্যমূখী ফুলের সমারোহে ক্ষনিকের তরে নিজেকে বিলিয়ে দিতে  সহপাঠীদের সাথে নিয়ে সোনালী সকাল আর গোধূলি বেলায় ভীড় করছেন প্রকৃতি আর ফুল প্রেমীরা। ফটোসেশানে ব্যস্ত সময় পার করছেন ওরা। উৎসব মূখর দর্শনার্থীদের পদচারণা। সূর্যমুখী ফুলের বাম্পার ফলনে কৃষক এর মূখে হাসি আর আনন্দ উল্লাস।

সূর্যমুখী ফুলের বাগানে ঘুরতে আসা ফুল প্রেমী আব্দুস সোবহান, আব্দুস সালাম,সাদিকুর রহমান নান্নু, হুমায়ুন কবির, জহিরুল ইসলাম লেবু, ফারুক আহমেদ জিতু ও মসিক আহমদ সহ আরো অনেকেই বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের অপরুপ লীলা ভূমি সবুজের ছায়া ঘেরা সোনার বাংলার সবুজের সমারোহে সূর্যমুখী ফুলের হাসি খূব ভাল লাগছে। ফুলকে ভালবাসি বলেই এখানে আসা। ভাল ফলন হয়েছে। ফুলের বীজ সংগ্রহ করে কৃষকেরা অর্থনৈতিক ভাবে সাবলম্বী হবেন। এই ফলন দেখে আরো অনেকে সূর্যমূখী চাষাবাদে উৎসাহিত হবেন বলে মনে করেন।

এ ব্যাপারে সূর্যমুখী ফুল চাষী মোঃ জহিরুল ইসলাম ও রোমেন সহ একাধিক ফুলচাষী একান্ত আলাপকালে তাদের অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসার এর উৎসাহে আর সার্বিক সহযোগিতায় বানিজ্যিক ভাবে লাভবান হওয়ার আশায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। সবুজের বুকে হলুদের হাসি মন কেড়ে নেয়। বাগানে প্রতিনিয়ত দর্শনার্থীদের ভীর ভাল লাগে। তারা আরো বলেন,  জমিতে ভাল ফলন হয়েছে। আশাবাদী বানিজ্যিক ভাবে লাভবান হবো।


জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত ওসমান মজুমদার বলেন , একটি পরিণত সূর্যমুখী ফুলের গাছ ৯০ দিন থেকে ১১০ দিনের মধ্যেই কৃষকরা বীজ ঘরে তুলতে পারবেন। যদি প্রাকৃতিক দূর্যোগে কোন প্রকার ক্ষতি না হায় তাহলে প্রতি বিঘা জমিতে ৫ থেকে ৬.৫ মণ সূর্যমূখী ফুলের বীজ পাওয়া যাবে। ১মণ বীজ থেকে ১৫-১৮ কেজি তেল পাওয়া যাবে। সূর্যমূখীর তেল ছাড়াও খৈল দিয়ে গাবাদিপশু, মাছের খাবার এবং গাছ জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা যায়। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের বিনামূল্যে সূর্যমুখীর সার ও বীজসহ নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সুনামগঞ্জের অন্যান্য প্রদর্শনীর ছেয়ে জগন্নাথপুরে সূর্যমুখী ফুলের বাম্পার ফলন হয়েছে। এদিকে গত ৮ ই মার্চ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপমহা পরিচালক জনাব ফরিদুল ইসলাম, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আতাউর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান ও উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ শওগত ওসমান মজুমদার সহ সরকারি কর্মকর্তাগন সূর্যমুখী ফুলের বাগান পরিদর্শন করেছেন। 

আপনি আরও পড়তে পারেন